কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
চারদিকে ছড়িয়ে আছে পদ্ম। মৃদু হাওয়াতে দুলছে ফুলগুলো। ভোরে যেন সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে রয়েছে বিলে ৷ হাতের কাছে, চোখের সামনে ফুটে আছে অসংখ্য ফুল। কাছ থেকে তাকিয়ে দেখলে স্বপ্নের দেশে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়াও বিলে সাদা বক, পাতি হাঁসের সাঁতার কাটা, বিভিন্ন পাখির শব্দ মনকে উদ্বেলিত করে।প্রস্ফুটিত পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন কাছে-দূরের দর্শনার্থীরা।
প্রতিদিনই রংপুর–কুড়িগ্রাম সড়কে ছুটে চলা যানবাহনের বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা ঘুড়ে ঘুরে উপভোগ করছেন এমন অপরূপ সৌন্দর্য। এসব পদ্মফুলের দেখা মিলেছে জেলার কাউনিয়া উপজেলার বেতানি পদ্ম বিলে। অনেক বছর ধরে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় এখানকার পদ্মফুল। ফুল দেখার উদ্দেশে রংপুরসহ আশেপাশের কয়েক উপজেলার মানুষ এ বিলে ঘুরতে আসেন। পদ্ম বিলের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ও শহীদবাগ ইউনিয়নের রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়কের কোল ঘেঁষে অবস্থিত বেতানির বিল। রংপুর জেলা শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবিল ইতোমধ্যে পদ্মবিল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিলের অধিকাংশ জমিতেই প্রাকৃতিকভাবে পদ্মফুল জন্মে থাকে প্রতি বছরই।পুরো বিল গোলাপী আর সাদা রঙের পদ্মফুলে ভরে ওঠে। এযেন বিধাতার এক অপরূপ সৃষ্টি, যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়। পদ্ম বিলের সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতিদিনই বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। যে যার মতো করে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন আর ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করে রাখেন। বাংলা বছরের আষাঢ় থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত বেতানির পদ্ম বিলে ফুল থাকে।
পদ্ম বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিবছরে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পদ্ম বিল ঘুরতে আসি। এ বিলের সৌন্দর্য দেখার মতো। এখানে ঘুরতে আসলে মন ভালো হয়ে যায়। পদ্মফুল বিক্রেতা স্থানীয় দুই শিশু নয়ন ও মুক্তা বলে, আমরা প্রতিদিন চারশত থেকে পাঁচশত টাকার ফুল বিক্রি করি। এই ফুল ফুটলে আমাদের দিন ভালো যায়। আমাদের স্কুলের খাতা, কলম, জামাকাপড় কিনতে সুবিধা হয়।
পদ্ম বিল পাড়ের একজন বাসিন্দা নাজমুল আলম বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে উপভোগ করেন পদ্মবিলের অপরূপ সৌন্দর্য।