রাজু আহম্মেদ , কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের উচ্চ শব্দে গান বাজানোয় নিষেধ করায় সাংবাদিক পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি ও অস্ত্রের মহড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ করেছে দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি রাশিদুল ইসলাম। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন রাত ব্যাপী দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি রাশিদুল ইসলামের পুরাতন স্টেশন (ব্যাঙের দোলা) গ্রামের বাড়ির পাশে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে নাচ-গান করছিল শহরতলির ট্যানারীপাড়া ও ব্যাঙের দোলা এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য মো. লিয়ন (২১), মো. ইমরান (২২), মো. বিজয় (১৯), ও মো. কবির হোসেন (২০) সহ ২৫-৩০ জনের একটি দল।
এ সময় তার বাড়িতে ৪ বছর বয়সের সন্তান প্রচন্ড জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ছিল। উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজানোয় অসুস্থ শিশুর ঘুম আসছিল না। পরে তিনি কুড়িগ্রাম থানায় অভিযোগ দিলে একটি পেট্রোল টিম কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গান-বাজনা থামিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরবর্তীতে ঈদের দ্বিতীয় দিন ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে কাকতালীয়ভাবে আর্মির একটি টিম ধরলা সেতুর দিকে যাবার প্রাক্কালে কিশোর গ্যাংয়ের উচ্ছৃঙ্খল নাচানাচি ও বিকট শব্দে গান-বাজনায় নিষেধ করলে তারা আর্মির উপর চড়াও হয়। এ সময় আর্মির টহলরত টিম তাদের ছত্রভঙ্গ করে সাউন্ড বক্সের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে চলে যায়। এতে কিশোর গ্যাংয়ের সন্দেহ হয় ওই সাংবাদিক আর্মিকে দিয়ে তাদের দমনের চেষ্টা করেছে। এমন অনুমান নির্ভর হয়ে কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোর গ্যাংয়ের ২৫-৩০জনের একটি দল হাতে লাঠি, হুকেস্টিক, লোহার রড নিয়ে ওই সাংবাদিককে মারার উদ্দেশ্যে যায়। বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী-সন্তানকে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া উত্থান হয়েছে। কেউ কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার ও লাঞ্ছিত হতে হয়। ঘটনার দিন বাড়িতে থাকলে হয়তো বা ওরা আমাকে মেরেই ফেলতো। আমি পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুল্লাহ্ বলেন, অপরাধী যেই হোক তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।