মোঃ মেহেদী হাসান – ভাঙ্গুড়া, পাবনা প্রতিনিধি:
ভাঙ্গুড়া বিস্তীর্ণ ইরি-বোরো ধানের মাঠে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। কৃষক ধান ঘরে তুলতে ধান গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে।উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ৭০৫০ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয় যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৮ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ধানের বাজার মূল্য ভালো থাকায় এবং সার, কীটনাশকের দাম কম থাকায় কৃষক এবার ধান চাষে আগ্রহ দেখিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক জমিতে সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছে।
বড়পুকুরিয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক কুদ্দুস জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইরি বোরো মৌসুমে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহের ব্যবস্থা করায় দাম কম ছিল এবং কীটনাশকের ন্যায্য মূল্য থাকায় এ বছর কৃষক ধান চাষে আগ্রহী হয় এবং চাষ বেশি হয়।কৃষক মামুন জানান, তিনি এবার সাড়ে ৩ শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, সার সংকট না থাকায় এবং সময় মতো সেচ দিতে পারায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীতে সামান্য বৃষ্টি হলে জমিতে রোগ বালাই লাগবে না, ফলন ভালো হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান জানান, আগামী ২ মাস আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বোরোর বাম্পার ফলন হবে এবং কৃষক পাকা ধান ঘরে তুলতে পারবে।
তিনি জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি রবি মৌসুমে বোরো ধানের (হাইব্রিড) আবাদ বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি জিও-২৮০ অধীন উপজেলায়১০০০ কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ প্রদান করেছে।এছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বোরো ধানের (উফসী জাত) সমলয় চাষাবাদের জন্য উপজেলায় কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়।