ঢাকাসোমবার , ৭ এপ্রিল ২০২৫
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. উদ্যোক্তা
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. জাতীয়
  12. দেশজুড়ে
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. পজিটিভ বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তায় পিলার আছে সেতু নেই

azad
এপ্রিল ৭, ২০২৫ ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ আমজাদ হোসেন কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধিঃ

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার দক্ষিণ ঠাকুরদাস মস্তেরপাড় জাবের আলীর ঘাট এলাকায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ হলে উপজেলা ও পৌর সদরের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি হতো এলাকাবাশির। ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেত সাত গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। সুবিধার আওতায় আসত কৃষিপণ্যের পরিবহন, শিক্ষা ব্যাবস্থা, বাড়ত কর্মসংস্থান। কিন্তু প্রায় পাচ বছর ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় যাতায়াতের এ সুবিধা অধরাই থেকে গেছে। নদীর বুকে এখন দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি পিলার। কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ ও ২০২০-২০২১ এ দুই অর্থবছরে হারাগাছ এডিবির পৌরসভার উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে দুটি দরপত্রের মাধ্যমে পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার দক্ষিণ ঠাকুরদাস মস্তেরপাড় জাবের আলীর ঘাট এলাকায় মরা তিস্তা নদীর উপর ৭৬ মিটার দীর্ঘ পাইল সেতু নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুরু করা হয়।

মায়ারচর গফফারটারী গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, হামরা হইনো চরের মানুষ। নদীর চরোত আবাদ করি খাই। বিভিন্ন কষ্টে হামার দিন কাটে। নদীর ওপরে সেতুটা হইলে আবাদের যে কোনো পণ্য সহজে হামরা জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে গিয়ে (বেছপার পামো)। পাশাপাশি শিক্ষা-চিকিৎসাসহ সব ধরনের যোগাযোগ সহজ হইল হয় । চর পল্লীমারী গ্রামের কৃষক সাগন মিয়া বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য বিভিন্ন বাজারে নিতে পারছি না। বাধ্য হয়ে কম দামে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাংলা বাজারের মেছাঃ রাহেলা বেগম বলেন হারাগাছ পৌরসভার ঠাকুরদাস গ্রামের ০৯ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন শুনেছি নির্মাণসামগ্রীর দাম বারায় সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই অজুহাত আর কত দিন কাজ বন্ধ রাখাযায় আমার জানা নাই। আমরা চাই অতি দ্ররুত সেতুটির কাজশেষ করে জনসাধারনের জন্য খুলে দেয়া হোক।

এ বিষয়ে কাউনিয়ার হারাগাছ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ হামিদুর রহমান বলেন, যেহেতু পৌর অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব ছিল না। তাই উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে দুই অর্থবছরে পৃথক দরপত্রের মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম দরপত্রে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক অসুস্থ থাকায় সেতুটির ২০ ভাগ কাজ করে কাজ বন্ধ রেখেছে। দ্বিতীয় দরপত্রে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুর এন্টারপ্রাইজকে সেতুর বাকি কাজ শুরু করার তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছে এবং এখনো কিছু পরিমান অর্থ আমাদের কাছে আছে কিন্তু পুরোপুরি কাজ শেষ করতে আরো প্রায় ২৫ লাখ টাকার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা উপরে তাগিদ ও চাহিদা দিয়েছি টাকা পাওয়া মাত্রই সেতুটির বাকি কাজ শেষ করতে পারবো।

এদিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার প্রশাসক (সহকারী কমিশনার (ভূমি)) মো: লোকমান হোসেন জানান, সেতুটির নির্মাণকাজ দ্রæত শেষ করার বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কিন্তু সেতুটি নির্মান করতে যে অর্থের প্রয়েজন সেই পরিমান অর্থ পৌরসভার কাছে নাই । আবার আংশিক ভাবে দুইবার প্রকল্প দেয়ার কারনে নতুন করে প্রকল্পও দেয়া যাচ্ছেনা। তার পরেও আমরা চেষ্ঠা করতেছি কিভাবে সেতুটির কাজ শেষ করা যায় সেই বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এবং দ্বিতীয় দরপত্রের কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যদি দ্রæত কাজ শুরু না করে তাহলে কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার আহব্বান করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।